লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্ত্রী কিংবা গার্লফ্রেন্ড। কাছের মানুষটিকে চূড়ান্তভাবে কাছে পাওয়ার চেয়ে সুখকর আর কী হতে পারে! ব্যবহারিক ভাষায় এক বাক্যে যাকে বলা হয় সেক্স বা যৌন মিলন। সবাই তো আর কাছের মানুষটিকেই বিছানায় নিয়ে সুখ খুঁজেন না! টাকার বিনিময়ে কিংবা যেকোনো সুযোগেই হোক নারী পুরুষের মিলনের মধ্যেই যেন সুখ খুঁজে বেড়ান। সেজন্য, সময়টাকে কীভাবে আরও বেশি সুখকর করা যায় সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সেক্স-এর সময় এমন কিছু শব্দ, এমন কিছু কথা আছে যাতে মিলনের আনন্দ দ্বিগুণ হয়! আসে পরিপূর্ণতা! কিন্তু সেই সিক্রেট কোডগুলো কী কী যা আপনার পার্টনারকে বেশি আকর্ষণ করে?
‘সসি ডেটস’ নামের একটি অনলাইন এজেন্সি ৫০২৪ জন ইউজারের ওপর একটি সমীক্ষা করেছে। তাঁদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সেক্স-এর সময় তাঁরা কী ধরনের শব্দ বা কথা শুনতে ভালবাসেন?
৯০ শতাংশেরও বেশি পুরুষ জানান, হালকা গোঙানির শব্দই সেক্স-এর উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। তবে এক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যাটা কম। ৭৭.৬ শতাংশ মহিলা তাঁদের পার্টনারের গোঙানি উপভোগ করেন।
৭৬.৮ শতাংশ পুরুষ আবার বলছেন, পার্টনারের থেকে ছোটখাটো দুষ্টুমির কথাবার্তা শুনলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ৭৩.৫ শতাংশ মহিলারও মত, দুষ্টু-মিষ্টি কথা পার্টনারের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।
তবে শুধু কথাই নয়, গভীর-ভারী নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসও মিলনে বড় ভূমিকা পালন করে।
৬০.১ পুরুষ ও ৪৫.৯ শতাংশ মহিলাদের মত, কান বা ঠোঁটের মতো স্পর্শকাতর অঙ্গে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস সেক্স- এর উত্তেজনা দ্বিগুণ করে!
এছাড়াও ‘আনন্দের যন্ত্রণা’-র চিৎকার, ‘ওহ গড’-এর মতো শব্দগুলিতে সেক্স আরও গভীর হয়!
তবে অনেক পুরুষ ও মহিলা এমনও বলছেন, সেক্স-এর সময় তাঁরা গভীর নিস্তব্ধতা পছন্দ করেন।
এ তো গেল, ‘ভালর কথা’! কিন্তু মিলনের সময় কোন কথা শুনলে সবচেয়ে খারাপ লাগে জানেন? সমীক্ষা জানাচ্ছে, অনেকেই পার্টনারের নাম ভুল বলেন। তাতেই মাটি হয় সমস্ত আনন্দ!
১. পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি৷ গোসল করতে হবে না কিন্তু, সাবান দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করে নিলে ভাল হয়৷ হালকা গরম পানি থাকলে তো আরও ভাল৷
২. পানি খেতে হবে বেশি করে৷ হাত পা ধুয়ে প্রথমেই অনেকটা জল খাবেন৷ তাতে শরীর ভাল থাকবে৷
৩. খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত উত্তেজনার ফলে শরীরে যদি কোনও অংশে ক্ষত তৈরি হয় তাহলে সেই অংশ ভাল করে কোনও জীবানু নাশক ব্যবহার করতে পারেন৷ স্পর্শকাতর অঙ্গ হলে সেক্ষেত্রে মলম ব্যবহার করুন৷
৪. অনেকটা ক্যালরি খরচ হয়ে যায় সঙ্গমের ফলে৷ তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন৷ সঙ্গে সঙ্গে অন্য কোনও কাজে মন দেবেন না৷ তাতে কাজটা ভাল করে হবে না৷
৫. আপনার সঙ্গীর সঙ্গে একটু গল্প করতে পারেন৷ এই কথাটি পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য৷ কারণ মহিলা সঙ্গীরা অনেক সময়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন৷ তাই তাঁদের সঙ্গে গল্প করুন৷ শেষ পর্যন্ত মনের মিলনই সব৷
৬. শেষ যে কাজটি অবশ্যই করবেন, ঘর এলোমেলো হলে গুছিয়ে ফেলুন৷ যাতে অন্য কেউ ঘরে এলে আপনাদের অপ্রস্তুত অবস্থান না পড়তে হয়৷ সঙ্গমের সময় ব্যবহৃত কন্ডোম ইত্যাদি যথাস্থানে ফেলুন৷
ঢা/এমআই