মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিজেকে কখনো সাংবাদিক আবার কখনো মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ মাস যাবত হাসপাতালের রোগী ও স্টাফদের চোখে নিয়মিত ধোলা দিয়ে আসছিলেন বহুরুপি প্রতারক এক নারী।
বহুরুপি প্রতারকের নাম রুলী বেগম, স্বামী জালাল উদ্দিন, বাড়ি রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের সালন।
মূলতো তার কাজ হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করিয়ে কমিশন আদায়। আর এসব নির্ভিঘ্নে করতে নিজেকে পরিচয় দিতেন সাংবাদিক হিসেবে।
সোমবার ৭ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই নারীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রোগীদের প্রতারিত করা অবস্থায় সরাসরি ধরা পড়ে। এর পর তাকে নানা অভিযোগে আটক করে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আসা হলে ভুক্তভুগি অনেক রোগীরা অভিযোগ নিয়ে আসতে থাকেন। স্টাফদের তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হুমকি ধমকির বিষয়ে অভিযোগ দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হন হাসপাতালের ওই কক্ষে। সেখানে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতাল কক্ষে আটকে রাখে কর্তৃপক্ষ। এসময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বলে দাবি করেন। একেক সময় একেক রকম তথ্য দেয়া এ নারীর পুরো শরীর কালো বোরকা দিয়ে ঢাকা আর মুখে মাস্ক পড়া এবং গলায় ঝুলানো বেশ কয়েকটি আইডি কার্ডও দেখা যায় এসময়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (অপারেশন) বদরুজ্জামান হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: আহমেদ ফয়সল জামান জানান, প্রতারক নারী রুলী বেগমের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, হাসপাতালে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে আটক রুলী বেগমকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ঢা/এসআর/এসআর