বরিশাল প্রতিনিধি: চলন্ত লঞ্চ থেকে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মুক্তা আক্তার (৩০) নামের এক স্কুলশিক্ষিকা। শনিবার রাতে বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন-১০ লঞ্চে তিনি মা ও খালার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
রাত ১০টার দিকে লঞ্চটি তালতলী ও চরমোনাই নদী মোহনায় গেলে দ্বিতীয় তলার ডেকের যাত্রী ওই শিক্ষিকা আকস্মিক নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন। অন্তত এক ঘণ্টা পরে ওই নারীকে স্থানীয় জেলেরা জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুন্দরবন লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানায়, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় পেছনের অংশে বাম পাশে স্থান নিয়ে মুক্তা তার মা ও খালার সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় আকস্মিক তাকে উত্তেজিত হয়ে দৌড় দিয়ে নদীতে পড়ে যেতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক লঞ্চটি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানান, রাত ১০টার দিকে ওই নারী ঝাপ দেওয়ার পর অন্তত ঘণ্টাখানেক লঞ্চটি থামিয়ে তার সন্ধান করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ব্যর্থ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে আসতে হয়েছে। তবে এরআগে স্থানীয় জেলেদের উদ্দেশ্য করে মাইকিং করে ওই নারীকে সন্ধানের জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে খবর আসে স্কুলশিক্ষিকাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে জেলেরা।
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলেরা নারীকে উদ্ধারের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বর) জুয়েলের হেফাজতে রাখেন। তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে ওই নারীকে তার স্বজনেরা মেম্বরের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন।
ঢা/জিএমএস/এসআর