ঢাকা ১৮ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে যেসব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের এক মাসের থাকা-খাওয়ার বিল হয়েছে ২০ কোটি টাকা। খাবারের বিলে একটা কলার দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা, একটা ডিমের দাম ১ হাজার টাকা ও এক স্লাইস রুটির দাম ৩ হাজার টাকা (দুই স্লাইস ৬ হাজার)!
কিন্তু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর তিনি খাবারের বিল নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুন) তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭শ’ মানুষ এক মাস থেকেছেন। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে তা টোটালি রং। সেখানে দিনের তিনটি মিলের জন্য ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে।’
এর আগে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের খাবার বিল নিয়ে সংসদে কথা বলেছেন। সেখানে একটি কলার দাম দুই হাজার টাকা, একটি ডিমের দাম এক হাজার টাকা। একটি ব্রেডের এক স্লাইসের দাম তিন হাজার টাকা, দুই স্লাইস ছয় হাজার টাকা। করোনাকালেও স্বাস্থ্য খাতে এ অবস্থা।’
উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের খাওয়ার খরচ ২০ কোটি টাকা- এমন একটি খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা এসেছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শিগগির এ ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবারের বিল, এটি অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনও অনিয়ম হয়, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
ঢা/আরকেএস