ঢাকা১৮ ডেস্ক: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এক বছর পর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আগামী ৩০ মার্চ থেকে। এছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে আরও প্রায় দুই মাস পর ২৪ মে থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই কেন স্কুল-কলেজ খুলবে তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে হলে থাকার বিষয় নেই।
এছাড়া তাদের বয়স কম হওয়ায় টিকা নেওয়ার বিষয়টিও বাধ্যবাধকতায় পড়ে না। সেজন্য স্কুল-কলেজ আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেছেন, হলের সঙ্গে স্কুলগুলো সম্পর্কিত না। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই। স্কুল-কলেজগুলো এজন্যই আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া স্কুল-কলেজের খোলার প্রস্তুতির জন্য যেসব নির্দেশনা বা গাইডলাইন আগে দেওয়া হয়েছে তা পালন করতে হবে বলেও জানান গোলাম ফারুক।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ২৪ মে থেকে শুরু হবে। এর আগে ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। হলগুলো খোলার আগেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে।
ঢা/মমি