জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলায় মনোয়ারা নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূ চরপলিশা গ্রামের সোহাগ মিয়ার স্ত্রী।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে মনোয়ারার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মনোয়ারার স্বামীর পরিবার জানায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে মনোয়ারা।
কিন্তু ওই গৃহবধূর পিতার অভিযোগ পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে। এরপর হত্যাকে ধামাচাপা দিতেই বিষপান করে আত্মহত্যার কথা বলে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে।
মনোয়ারার পিতা বেলাল উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে জমি লিখে দিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে সোহাগ। এ ঘটনা নিয়েই কথা কাটাকাটি হলে সোহাগ মনোয়ারাকে বেদম প্রহার করে।
তিনি জানান, নির্যাতনে মারা যাবার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার খবর প্রচার করেছে তারা। গতকাল রাতেও আমাদের পরিবারের লোকজনদের সোহাগ মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, মনোয়ারা ও সোহাগের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। সোহাগের আরেকটা বিয়ে নিয়ে এ কলহের সূত্রপাত।
সোহাগের বড় ভাই সোহেল বলেন, রাত দুটোর দিকে সোহাগের ঘরে হট্টগোল শোনে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি বিষপান করেছে মনোয়ারা। মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই মনোয়ারাকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করে ডাক্তার। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেবার সময় রাস্তায় মারা যান মনোয়ারা।
ইউপি সদস্য ফজলুল হক জানান, সোহাগের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলে জানতে পেরেছি।
মেলান্দহ থানার ওসি (তদন্ত) আ. মজিদ জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্বামী সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
ঢা/আরকেএস