চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশ ফেরত ২৯৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর সাথে আরো যোগ হয়েছে ১৪ জন।
চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তাদেরকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৬৬ জন, জীবননগর উপজেলার ৯৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৭৩ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ৬২জন।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। তাছাড়া ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায়, কেনো প্রকার সিনট্রম না পাওয়ায় আরও ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টইন থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এই ২১ জন দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মোট ৫৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টইন থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নিকট গত তিন মাসে প্রবাস থেকে ফিরে আসাদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকাটিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ৭ হাজার ৭ শ ৯০ জনের নাম আছে। এ তালিকা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের
ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, হোম কোয়ারেন্ট মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
যারা বিদেশ ফেরত তাদেরকে কোন ভাবেই সহজ ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিদেশ ফেরত সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতেই হবে।
না মানলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল)আইন ২০১৮ অনুযায়ী এবং দন্ডবিধি অনুযায়ী তাদের জেল-জরিমানা উভয় দন্ড হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকা খুব একটা কষ্টের কাজ নয়। কিন্তু যদি কারো করোনা হয়ে থাকে, আর সেটা যদি ছড়িয়ে যায়, তাহলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হবে।
তাই সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। যদি কেউ কোয়ারেন্টাইন না মানে তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢা/কেএস/মমি