নিউজ ডেস্ক: বৈশিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বে লকডাউন করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও গাইবান্ধা জেলা লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা লকডাউন এবং মুন্সীগঞ্জে আন্তইউনিয়ন যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলার সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হলো।
জেলা থেকে কেউ বের হতে বা ঢুকতে পারবেন না। এই নির্দেশনা জেলা শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান অনলাইনে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চাঁদপুর অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেছেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, এ জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় কুমিল্লা জেলাকে শুক্রবার দুপুরে লকডাউন কেদি(অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন শুক্রবার বেলা ১টায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে গাইবান্ধা অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, মুন্সীগঞ্জ জেলায় আন্তইউনিয়ন যোগাযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এই আদেশ জারি করেছেন।
লকডাউনে রাখা সব এলাকাসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢা/তাশা