নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার আজ ৫২ তম বিবাহবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় ৭ম স্থানে রয়েছেন তিনি।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। স্নাতকের ছাত্রী থাকা অবস্থাতেই ১৯৬৭ সালে তাঁর বিয়ে হয়।
কিন্তু এর বাইরেও তাঁর আরও অনেক গুণ রয়েছে। আছে তাকে নিয়ে অনেক ছোট ছোট সব গল্প। সেসব কিছু মিলিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারো মা আবার কারো প্রিয় আপা।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়েজুন্নেসা। তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।
মানসম্মত লেখাপড়ার জন্য ওয়াজেদ মিয়াকে রংপুর জিলা স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকেই তিনি ডিসটিনকশনসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি।
এরপর ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন এবং ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের পর, দেশে ফিরে একই বছর ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (কন্যা) নামে এই দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে। তারা বহন করে চলেছেন বাংলাদেশের স্বপ্নের মশাল।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ মে বিকাল চারটা ২৫ মিনিটে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।
৫২ তম বিবাহবার্ষিকীতে ঢাকা১৮.কম পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
ঢা/তাশা